নিখোঁজের ৫০ দিন পর মুন্সিগঞ্জের রামপালে প্রেমিকার বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা রনির অর্ধগলিত লাশ। এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকা সুলতানা রাজিয়া রুমা ও বাড়ির কাজের বুয়া আম্বিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত রনি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার লালপুরের কাজি জাহিরউদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, রুমা সম্পর্কে রনির দূর সম্পর্কের খালা।
পুলিশ জানিয়েছে, খালার সঙ্গে ভাগ্নের অনৈতিক সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, রুমার সঙ্গে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতেন রনি। সেই টাকার জন্যই তাকে হত্যা করেন রুমা।
নিহতের ছোট ভাই মো. জনি বলেন, শেয়ার বাজারে ব্যবসার টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুমা জানান, রনির সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক৷ ৩ নভেম্বর রনি তার বাসায় রাতযাপন করেন। পরদিন সকালে কামাল নামে এক আত্মীয় বাড়িতে এলে ধরা পড়ার ভয়ে তিনি একটি কাঠের সিন্দুকে লুকিয়ে পড়েন। সিন্দুকের দরজা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেই আত্মীয় চলে গেলে সিন্দুক খুলে রুমা দেখতে পান রনি বেঁচে নেই। এতে ভয় পেয়ে পরদিন ভোর রাতে কাজের বুয়া আম্বিয়ার সহযোগিতায় রনির লাশ বাড়ির পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের হাতিমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাজিব খান জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি ওই ঘটনায় ৬ নভেম্বর ফতুল্লা থানায় জিডি করা হয়। জিডির তথ্য অনুযায়ী মুন্সিগঞ্জের রামপালের সুলতানা রাজিয়া রুমার বাড়িতে খোঁজ নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে রনির লাশ লুকিয়ে রাখার কথা জানান তিনি। তার দেয়া তথ্যেই বুধবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রনির লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আশফাকুজ্জামান জানান, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের প্রেমিকা ও কাজের বুয়াকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
0 coment rios:
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য