বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাধ্বীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
পাপুল ছাড়াও এ মামলার আসামিরা হলেন-পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কোম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পিপুল, তার শালিকা ও মেয়েসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ১২ নভেম্বর আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। এরপর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করে করেন। এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম। এ মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, তিনি কুয়েতে মানবপাচার করে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। হুন্ডি ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বিদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতে দায়ের করা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন কুয়েতের আদালত।
s ডেইলি বাংলাদেশ

0 coment rios:
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য