বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

ব্রিজ নির্মাণের ৯ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

 যানজট কমানোর জন্য নওগাঁ সদরের দক্ষিণে বাইপাস সড়কের জন্য খিদিরপুর-শিয়ালা ঘাট তুলসীগঙ্গা নদীর উপর এলজিইডি থেকে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের পশ্চিম পাশ দিয়ে সংযোগ সড়ক করা হয়নি।

নওগাঁ শহরের সুলতানপুর পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা করার উদ্যোগ নিলে খিদিরপুর, মুন্সিপাড়া, শিয়ালা, নেংরাতুলিসহ ৬টি গ্রামের প্রায় ৮হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ সহজ হবে।



জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাণিজ্য মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল নওগাঁর দক্ষিণ দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) থেকে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩শ ৯৪ টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ সালে ব্রিজটির উদ্বোধ করেন আব্দুল জলিল। এর পর ৬ মার্চ ২০১৩সালে তিনি মারা যাওয়ার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটির পশ্চিম দিকে দিয়ে নওগাঁ শহর পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়নি কোনও বিভাগ। 

নেংরাতুলি গ্রামের বাসিন্দা আতোয়ার হোসেন জানান, সংযোগ সড়কের জন্য জেলা পরিষদ, এলজিইডি, পৌরসভায় একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও কোন বিভাগ এগিয়ে আসেননি। ফলে এক কিলামিটার রাস্তার জন্য ৬/৭ কিলোমিটার ঘুরে নওগাঁ শহরে যেতে হয়। 

খিদিরপুর গ্রামের আশরাফ আলী মন্ডল জানান, পরে থাকা ব্রিজটিতে জ্বালানি শুকানোসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করে থাকেন স্থানীয়রা। মাত্র দেড় কিলামিটার রাস্তা নির্মাণ করা হলে নওগাঁ শহরের সাথে স্থানীয়দের যোগাযোগ সহজ হবে অন্যদিকে নওগাঁ-ঢাকা সড়কের নওগাঁয় যানজট কমবে। 

একই এলকার স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব সরদার, বিজয় কুমার, জাহিদুল হকসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, ব্রিজের পশ্চিমে রাস্তা না থাকায় ও নদীর পশ্চিম পাশে বাঁধ না থাকায় তাদের বর্ষা মৌসুমে ধান ডুবে যায়। আবার মাঠের ধানসহ বিভিন্ন ফসল কাদা-পানির মধ্যে আনা-নেওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার উৎপাদিত ধানসহ সবজি নওগাঁ শহরে নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় বেশি লাগে। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নওগাঁর প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর থেকে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও নতুন নিয়মে দুই কিলামিটারের চেয়ে কম রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া সীমানাটি নওগাঁ পৌরসভার মধ্যে পরে যার কারণে আমরা কোন উদ্যোগ নিতে পারছিনা। 

নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় আবেদন জমা দেয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

[সংবাদ, নরম এবং কেবল প্রচার নয়। সাধারণ মানুষের বাস্তব প্রত্যাশা] [সাংবাদিকতা কখনও নীরব হতে পারে না: এটি তার সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ এবং তার সর্বশ্রেষ্ঠ] “আমরা শুধু সামনের দিকেই এগুতে পারি; আমরা নতুন দরজা খুলতে পারি, নতুন আবিষ্কার করতে পারি – কারণ আমরা কৌতুহলী। আর এই কৌতুহলই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা”

0 coment rios:

ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য