শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

দেশের সব ইমাম- মুয়াজ্জিনকে সরকারী বেতন দিতে প্রস্তাব~বেনজির আহমেদ




মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি”‌প্রিন্স ফখরুল ইসলাম, বেশ কয়দিন থেকে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা এবং জাতীয় দৈনিকে লেখা লেখি হচ্ছে বেনজির আহমেদের এই মূল্যবান প্রস্তাবটি । মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ চট্টগ্রাম প্র‌তি‌নি‌ধি,
সবিনয়ে দেশের একজন অতি সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে?
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে,
ধর্ম বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সন্মানীত সভাপতি ও সদস্য গনের কাছে,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহোদয়ের কাছে,
ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিবমহোদয়ের কাছে,
ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সন্মানীত চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে
বাংলাদেশ ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ডিজি মহোদয়ের কাছে,
বাংলাদেশ ইসলামীক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরের ১২ জন সন্মানীত সদস্যদের কাছে,
জাতীয় দৈনিকে অনলাইন পোর্টাল,
সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বহুল প্রচারিত এই সংবাদ আপনাদের দৃষ্টি গোছর হয়েছিল কিনা?
যদি হয়ে থাকে এই প্রস্তাবটির পক্ষে অথবা বিপক্ষে আপনাদের কারো পক্ষ থেকে কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি নেই কেন?
এই প্রস্তাবনাটি সরকার বাহাদুরের কাছে অথবা সংসদে
উপস্থাপন করার দ্বায়িত্ব আসলে কার?
কি কি কারনে প্রস্তাবটি আপনাদের কাছে গ্রহণ যোগ্য মনে হয়নি
আপনারা সকলে সরকারের এক একটি মহা মূল্যবান দ্বায়িত্ব পালন করেছেন দেশের সাধারণ জনগণের যেহেতু মনে আছে আপনারা তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়
হেফাজত ইসলামের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচির সেই ভয়াবহ কাল রাতের কথা, সেই রাতে বা ঐ পরিস্থিতিতে আপনাদের ভুমিকা কি ছিল সেটা দেশের মানুষ জানে না
কিন্তু বেনজির আহমেদ(DG RAB) তৎকালিন সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসাবে কর্মরত ছিলেন কতটা বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে সেই রাতে হেফাজতের নামে বহুদলীয় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ দেশের সচেতন নাগরিকগণের অজানা নয়
আর সেই ঘটনার পর থেকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো
সরকারের বিশেষ নজরদারিতে আসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা গন মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্তাব্যক্তিগন কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বায়িত্ব দেন হেফাজত কান্ড কারা ঘটিয়েছে কারা আয়োজন করেছে নিরীহ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কি কি সুযোগ সুবিধা দরকার সকল রহস্য উদঘাটন করেছে সরকার ঐ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল সরকার
এবং শেষ পর্যন্ত আল্লামা সফির নেতৃত্বে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২ লক্ষ আলেম ওলামারা উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আল্লামা সফি সাহেব স্বীকার করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে আমাদেরকে এতদিন ভুল বোঝানো হয়েছিল এবং সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে
“কাউমী জননী,উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন তখন বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত এই কর্মকর্তা জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন এবং অত্যন্ত কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করেন জঙ্গিবাদ এখন বাংলাদেশে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন
সুতরাং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শতকরা নব্বই শতাংশ শান্তি প্রিয় মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ অনুভূতির কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের চুপ থাকা নিয়ে দেশের আলেম সমাজ সহ সাধারণ জনগণ মর্মাহত হয়েছে
আমার অভিজ্ঞতা: ১১১র পরবর্তী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরংকুশ বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশ ইসলামীক ফাউন্ডেশনের একজন সন্মানীত গভর্নর মহোদয়ের পিএস হিসেবে প্রায় দেড় বছর দ্বায়িত্ব পালন করার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই সুবাদে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় অঞ্চলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল প্রোগ্রামে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ধর্ম সচিব এবং গভর্নিং বডির সদস্য গন সহ উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল সেখানে মসজিদ ভিত্তিক অনেক কর্মসূচি ছিল
সমাজের উন্নয়নে ইমাম সাহেবদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বেনজির আহমেদ স্যারের প্রস্তাবটি খুবই যুক্তি সম্পূর্ণ মনে হয়েছে পাশাপাশি আরও একটি ব্যাপার যুক্ত করার চেষ্টা করেছি তা হচ্ছে শৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে দেশের মোট চাহিদার তুলনায় কত ভাগ বিদ্যুত উৎপাদন হতো আমার জানা নেই কিন্তু সেই সময়ে প্রতিটি মসজিদের বিদ্যুতের বিল ১০০ ইউনিট পর্যন্ত মহকূপ করা ছিল ৯১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসে তার ধারাবাহিকতা
অব্যাহত রাখেননি অর্থ হল ৯১ এর পর যেসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এই মসজিদ গুলো ১০০ ইউনিট বিদ্যুতের বিল মহকূপ সুবিধা পাচ্ছেন না আমরা এমন অবুঝ জাতী যে দেশ স্বাধীন করেছে সেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ফেলেছি সব জায়গায় টাকা খরচ করছি কিন্তু সমাজের সবচে সন্মানীত ব্যাক্তি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন ভাতার ব্যাপারে আমরা কৃপনতা করছি সরকার ভূর্তকি দিলেও যে সেটা জনগণের ই টাকা আবার বিদ্যুতের বিল দিলে সেটিও যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে এইটা আমরা বুঝে ও না বোঝার ভান করি সেই কারনে সরকার বাহাদুরের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করেছি বেনজির আহমেদের প্রস্তাবের সাথে বিদ্যুতের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দাবী টির বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করুন।
আওয়ামী ঘরানার মাওলানা সাহেবেরা শুধু কে সেরা আর কে জামায়াতের প্রডাক্ট এই সব নিয়ে গবেষণা করছেন কে আপনাদের কে নিষেধ করেছে বঙ্গবন্ধুর প্রডাক্ট নিয়ে আসুন সামনে জনগণ দেখুক কে সেরা জনগণ কাজে বিশ্বাসী কথায় নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কারনেই আসলে দলীয় আলেম সমাজের প্রতি কিছু টা অসন্তুষ্ট সাক্ষাত কমিয়ে দিয়েছেন।
সবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা।

সুত্র online


শেয়ার করুন

Author:

[সংবাদ, নরম এবং কেবল প্রচার নয়। সাধারণ মানুষের বাস্তব প্রত্যাশা] [সাংবাদিকতা কখনও নীরব হতে পারে না: এটি তার সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ এবং তার সর্বশ্রেষ্ঠ] “আমরা শুধু সামনের দিকেই এগুতে পারি; আমরা নতুন দরজা খুলতে পারি, নতুন আবিষ্কার করতে পারি – কারণ আমরা কৌতুহলী। আর এই কৌতুহলই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা”

0 coment rios:

ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য