শনিবার, ৮ মে, ২০২১

সুনামগঞ্জে গ্রাম পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন, ২ জন গ্রেফতার



 সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সংঘটিত একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‍্যাব)-৯’র সদস্যরা। ওই হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার মূল আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে র‍্যাব।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় গ্রাম পুলিশ আব্দুর রউফ হত্যা মামলায় শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে র‍্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার কর হয়।

র‍্যাব জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) তাহিরপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে আব্দুর রউফ নামক ব্যক্তি মারা যান। সেই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব-৯। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাহিরপুরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার হলহলিয়া চরগাঁও-এর আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হেকিম (৩০) ও আরেক সন্দেভাজন আসামি এলামুল হক শাবনুর (২৫)-কে আটক করে।

আব্দুল হেকিম সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হলহলিয়া চরগাঁও-এর মলাই মিয়ার ছেলে ও এলামুল হক শাবনুর তাহিরপুরের বোরখড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, আব্দুর রউফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আরেক সহযোগী সোহেল মিয়া (২৮)। সোহেল হলহলিয়া চরগাঁও-এর আকবর আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক। বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল হেকিম, এলামুল হক শাবনুর ও সোহেল মিয়া- এই তিনজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানান, গত বুধবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত নিকটবর্তী হাওরের খোলা জায়গায় বসে আড্ডা দেয় তারা তিনজন। পরে রাত প্রায় ২টার দিকে এ তিনজন ব্যক্তি আটককৃত শাবনুরের দাদার (সফদর আলীর) খলা হইতে ধান চুরি করে নিজের ঘরে রাখে। পরে রাত পৌনে ৩টার দিকে শাবনুর তার দুই সহযোগিকে বাড়িতে এগিয়ে দিতে রওয়ানা হয়। তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তারা শাবনুরের বাংলো ঘরের বারান্দায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে।

সে সময় সোহেল মিয়া তাদের বলে- তার একটি সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি দরকার। তখন আবদুল হেকিম বলে- গ্রাম পুলিশ (নিহত হওয়া) আব্দুর রউফের ঘরে একটি ব্যাটারি আছে। পরে রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে তারা তিনজন আব্দুর রউফের ঘরে ব্যাটারি চুরি করার জন্য প্রবেশ করে। আব্দুল হেকিম ব্যাটারি নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুর রউফ সজাগ হয়ে পড়েন। এসময় রউফ চিৎকার করে চোরদের ঝাপটে ধরতে চাইলে আব্দুল হেকিম তার হাতে থাকা টিপ চাকু রউফের বুকে বিদ্ধ করে। এসময় আবদুর রউফ মাটিতে লুটে পড়েন। তখন বাড়ির আরও লোকজন জেগে গেলে তারা তিনজন ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যান।

পরদিন সকালে থানাপুলিশ আব্দুর রউফের মরদেহ উদ্ধার করে। পলাতক সোহেল মিয়াকে আটক করার জন্য র‍্যাবের গোয়েন্দা দল তৎপর রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের তাহিরপুর থানায় হন্তান্তর করেছে র‍্যাব।


শেয়ার করুন

Author:

[সংবাদ, নরম এবং কেবল প্রচার নয়। সাধারণ মানুষের বাস্তব প্রত্যাশা] [সাংবাদিকতা কখনও নীরব হতে পারে না: এটি তার সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ এবং তার সর্বশ্রেষ্ঠ] “আমরা শুধু সামনের দিকেই এগুতে পারি; আমরা নতুন দরজা খুলতে পারি, নতুন আবিষ্কার করতে পারি – কারণ আমরা কৌতুহলী। আর এই কৌতুহলই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা”

0 coment rios:

ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য