বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার বন্দরে মানববন্ধন শেষে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খায়রুল বাসারসহ দুই পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শাহ আলম (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহ আলম শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত মিয়াজানের ছেলে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ‘কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় শাহআলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বগুড়ার শিবগঞ্জে শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিহার ইউপির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। শিবগঞ্জ উপজেলার বিহারহাট বন্দরে বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এলাকার নারী-পুরুষরা।
পরে বিক্ষোভকারীরা দুপুর দেড়টার দিকে বাজারে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবন ভাঙচুর করার চেষ্টা চালালে শিবগঞ্জ থানার কর্তব্যরত এএসআই খায়রুল বাসার ভাঙচুর করার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্য আবু বক্করকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
খবর পেয়ে থানার ওসি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসআই খায়রুল বাসার বলেন, ‘মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্মাণাধিন ভবন ভাঙচুর করতে গেলে মোবাইলে ভিডিও চিত্র নিতে গেলে ইউপি সদস্যর ছোট ভাই রবিউল ইসলামের নির্দেশক্রমে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে।’
নিহত শিমুলের বড় ভাই মামলার বাদী ইউপি সদস্য রায়হান আলী বলেন, ‘মানববন্ধনের কিছু ব্যানার ফেস্টুন গাছে সাটানোর সময় পুলিশ সদসরা ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।’
শিবগঞ্জ থানার এসআই বদিউজ্জামান বলেন, ‘কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এর আগে মানববন্ধনে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন-নাগরিক ঐক্যের নেতা বাদশা মিয়া, ব্যবসায়ী সাজু ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আলীম, রুবেল মিয়া, আফজাল হোসেন, রবিউল ইসলাম।

0 coment rios:
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য