সুত্র অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরে ৬ বছরের শিশুকে অপহরণের পর হত্যা
গাজীপুর প্রতিনিধিঃগাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেয়ায় শারমিন সুলতানা(৬)নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ মে) দুপুরে আব্দুল আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাহবুবের ঘরের বাথরুম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাহবুব (২৩) ও রাব্বী (১৯) নামের দুজনকে আটক করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। নিহত শারমিন সুলতানা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বাঘেরবাজার বানিয়ারচালা এলাকার আবুল কালামের বাড়িতে ভাড়া থেকে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করেন। সকালে শারমিন বাসার পাশে খেলতে যায়, কিছুক্ষণ পরে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে শারমিনের পিতা জাহাঙ্গীর আলমের কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি ফোন আসে। অন্যদিকে শারমিনকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এসময় মাহাবুব ও রাব্বির ভাড়া বাসার কক্ষের বাথরুমে শারমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক( এস আই) সাদেকুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে অপহরনের পর শ্বাষরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান নিহত শিশু শারমিন সুলতানার পিতার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে শারমিনকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ অপহরণকারীদের ভাড়া বাসার টয়লেটে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় মাহবুব ও রাব্বি নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
0 coment rios:
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য